বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে দুই নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
মাসুম বিল্লাহ শেরপুর, বগুড়াঃ
বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের আয়া (৩৫) ও চাতালের এক নারী (২৫) শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে শেরপুর থানায় পৃথকদুটি ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতারা হলেন, গাড়িদহ ইউনিয়নের কালশিমাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ও ভিশন ল্যাব এন্ড হসপিটালে ম্যানেজার আব্দুল আলিম, অপরজন মহিপুর নতুনপাড়া গ্রামের দেলবর প্রামাণিকের ছেলে শরিফ উদ্দিন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিশন ল্যাব এন্ড হসপিটালে আয়া চাকুরীর সুবাদে ম্যানেজার আব্দুল আলিমের সঙ্গে পরিচয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১ সেম্পেম্বর আব্দুল আলিম স্ত্রী অসুস্থের কথা বলে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের কথা বলিলে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাদি হয়ে ওই আয়া শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০(সংশোধনী) ২০০৩এর ৯ (১) রুজু হয়েছে।
অপরদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিক জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হলেও বর্তমানে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর পিসি ভাটা এলাকাস্থ রাব্বী মিয়ার মিল-চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় যুবক শরীফ তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সেইসঙ্গে তাকে বিয়ের প্রলোভনও দেন। এরই সূত্রধরে চলতি মাসের ১০সেপ্টেম্বর ভোররাতে মিল-চাতালে যাওয়ার সময় লম্পট যুবক শরীফ কৌশলে ওই নারীকে শ্রমিকদের বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যান। এমনকি জোরপূর্বক তাঁকে ধর্ষণ করেন। মামলার বাদি ওই নারীরা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে আমাকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেন। আবার তাকে বিয়ের কথা বললেও তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই প্রতারক প্রেমিক।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রতমান খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল আলিম ও শরীফ উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়।